শিরোনাম

গাজায় নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল: ম্যাথু মিলার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এবং বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ম্যাথু মিলার সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন—তিনি মনে করেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং এ বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।

স্কাই নিউজের ‘ট্রাম্প ১০০’ নামের একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে মিলার এই মন্তব্য করেন। স্থানীয় সময় সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। এতে তিনি বাইডেন প্রশাসনের ভেতরের দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ ও নানা সংকট নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।

ম্যাথু মিলার ২০২৩ সাল থেকে বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মূল দায়িত্ব ছিল গাজা ও ইউক্রেনসহ আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা।

গাজায় গণহত্যা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মিলার বলেন, “আমি মনে করি না এটি গণহত্যা, তবে আমার মতে, ইসরায়েল কিছু ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ করেছে—এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”

তখন সরকারি দায়িত্বে থাকাকালে কেন এমন কথা বলেননি—এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলার জানান, “সরকারের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যায় না। তখন কেবল সরকারী সিদ্ধান্তই তুলে ধরা হয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই সিদ্ধান্তে আসেনি যে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে, এবং এখনও আসেনি।”

যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধকে দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়—প্রথমত, কোনো রাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল অনুসরণ করতে পারে যা সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র এমন দায়িত্বহীন আচরণ করতে পারে, যা পরোক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধকে উসকে দেয় বা সহায়তা করে। এই দুই দিক থেকেই বিচার করে তিনি মনে করেন, ইসরায়েলের কিছু পদক্ষেপ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

মিলার আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন—নির্দিষ্ট কিছু ঘটনায় ইসরায়েলি সেনা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধাপরাধে জড়িত হয়েছেন।

গাজা পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিলার জানান, প্রশাসনের অভ্যন্তরে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও গাজানীতি নিয়ে নানা পর্যায়ের মতবিরোধ ছিল। কারো সঙ্গে গভীর মতপার্থক্য ছিল, আবার কারো সঙ্গে ছিল তুলনামূলকভাবে ছোট পরিসরের মতবিরোধ।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে গাজা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে টানাপোড়েনের গুঞ্জন নিয়েও প্রশ্ন করা হলে মিলার সেই বিরোধের ইঙ্গিত দেন, যদিও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।