গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পুনরায় কাতারের ভূমিকা শুরুর ঘোষণা এসেছে। গত নভেম্বরে কাতার তাদের মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা জানিয়ে ছিল। তবে, কাতার শর্ত দিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাস যদি আন্তরিকতা দেখায়, তাহলে তারা পুনরায় মধ্যস্থতার ভূমিকা গ্রহণ করবে।
টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাতার এখন আবার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আলোচনায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি তার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চূড়ান্ত করতে বলেছেন। এই লক্ষ্যে, ট্রাম্পের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ কাতার ও ইসরাইল সফর করেছেন।
একটি সূত্র জানায়, কাতার যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনা আবারও শুরু করছে। একই সূত্র জানিয়েছে, গত নভেম্বরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন স্টিভ উইটকফ, যা কাতারের মধ্যস্থতার পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত।
কাতার, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং একটি গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ, এর আগে ইরান, তালেবান ও রাশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতির নানা ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের পাশাপাশি সহায়তা করা হয়েছে। তবে, এখনও যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিশ্চিত করতে পারবেন কিনা।