শিরোনাম

ইরানের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্টকে পুতিনের ফোন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

ইরানের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরকে ফোন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইরানের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের সাথে ফোনালাপে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে একজন ‘নির্ভরযোগ্য অংশীদার’ বলে অভিহিত করেন পুতিন। রাইসিকে একজন অসাধারণ রাজনীতিবিদ এবং রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

দুই নেতা রাশিয়া-ইরানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছেন।

এর আগে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোক জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সময় থেকেই মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী হয়ে উঠেছে ইরান।

রোববার ১৯ মে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।

সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

এদিকে ইব্রাহিম রাইসির প্রথম ডেপুটি হওয়ার আগে, মোহাম্মদ মোখবার দেজফুলি প্রায় ১৫ বছর ‘এক্সিকিউটিভ স্টাফ অব ফরমান ইমাম’-এর প্রধান ছিলেন, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির অন্যতম ধনী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

এই সদর দপ্তর সরাসরি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতার তত্ত্বাবধানে কাজ করে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে তারা দায়বদ্ধ নয়।

মোহাম্মদ মোখবার কট্টরপন্থী গোষ্ঠীতে থাকা সুপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। এরপর তিনি দেশটির ‘রেসিস্ট্যান্স ইকোনমি হেড কোয়ার্টারের’ প্রধানের দায়িত্ব নেন। তার কাজ ছিল দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো।