শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি সেখানে যান এবং কিছু সময় অবস্থান করেন।
নাশকতাকারীদের গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সহিংসতায় মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন অচল হয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দুটি স্টেশন পুনরায় চালু হতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার পর বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনের ডি গেট এবং এ গেট ভেঙে প্রায় ৩০০ জনের মতো ভেতরে প্রবেশ করেন। স্টেশনে ঢুকে তারা যা পান তা ভাঙচুর করেন। নাশকতাকারীদের তাণ্ডবে মিরপুর ১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকী সময় সংবাদকে জানান, স্টেশনে ঢুকে দুর্বৃত্তরা সবকিছুতেই আঘাত করেছে এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু তারা নিয়ে চলে গেছে। এছাড়া যে জিনিসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত
এম এ এন ছিদ্দিকী বলেন, “দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল স্টেশনটাকে এমনভাবে তছনছ করেছে যে, এতে মনে হয় তাদের ভেতর সামান্যতম দেশাত্মবোধ নেই। এমন একটি সম্পদ ধ্বংস করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।”
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের জন্য একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “স্টেশনগুলো যেভাবে ভেঙে চুরমার করা হয়েছে, তা ঠিক করতে কমপক্ষে এক বছর বা তার বেশিও লাগতে পারে। কারণ এগুলো অর্ডার দিয়ে তৈরি করতে হয়।”