ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
স্টারমার জানান, রুয়ান্ডা-নীতি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকানোর কার্যকর পন্থা ছিল না। তিনি আরও বলেন, “যে পরিকল্পনা কার্যকর নয়, সেটাকে আমি চালু রাখব না।”
স্টারমার আরও উল্লেখ করেন যে, ছোট নৌকায় করে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ। এই তথ্য মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো ভালোভাবে জানে এবং এই কারণেই তারা বিপজ্জনক উপায়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে আনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে, তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য যুক্তরাজ্য সরকার পাঁচ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা আশ্রয় দেবে। এর বিনিময়ে ব্রিটিশ সরকার রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসনের জন্য বাড়তি অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মে মাস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকে ধরপাকড় শুরু হয়।
২০২২ সালের জুনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি রওনা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে তা বাতিল হয়ে যায়। পরের বছরের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের পরিকল্পনাকে অবৈধ ঘোষণা করে। তবে ঋষি সুনাক এই পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।