শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

ছোট পুঁজি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বোলিংয়ে ভালোই লড়াই করেছে। প্রথম ১৪ বলের মধ্যে ভারতের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন সৌরভ নেত্রাভালকার। এরপর তিনি সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের ক্যাচ মিস করেন। জীবন পেয়ে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ দায়িত্বশীল ফিফটি করে ভারতকে জয় এনে দেন।

নিউইয়র্কে বুধবার ৭ উইকেটের জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠে গেছে ভারত। ১১১ রানের লক্ষ্য ১০ বল বাকি থাকতেই পূরণ করে তারা।

২২ রানে জীবন পেয়ে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ অপরাজিত ৫০ রান করে দলকে জয় এনে দেন। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে তার ৪৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কায়।

ম্যাচের সেরা হয়েছেন আর্শদিপ সিং। এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কারও সেরা বোলিং এবং আর্শদিপের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও।
৩ ম্যাচের সবগুলোতে জয় পেয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ভারত। আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ এখনও তাদের হাতেই রয়েছে।

৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট করে নিয়ে পাকিস্তান তৃতীয় এবং কানাডা চতুর্থ স্থানে আছে। ২ ম্যাচেই হেরে তলানিতে রয়েছে আয়ারল্যান্ড। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের বাকি একটি করে ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার এইটের টিকেট পাবে।

নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই যুক্তরাষ্ট্র দুটি বড় ধাক্কা খায়। ওভারের প্রথম ও শেষ বলে শায়ান জাহাঙ্গির এবং আন্দ্রেয়াস হাউসকে আর্শদিপ আউট করেন।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো বিপদ না হলেও, পরবর্তীতে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। নিয়মিত অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যারন জোন্স ১১ রান করতে খেলেন ২২ বল।

দলে ১৫ রানের বেশি করতে পেরেছেন কেবল দুইজন। ওপেনার স্টিভেন টেইলর ৩০ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রান করেন। নিতিশ কুমার সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ২৩ বল খেলে। মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে তাকে আউট করা হয়।
লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট অবদানে একশ ছাড়ায় স্বাগতিকদের সংগ্রহ।

রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে পেসার নেত্রাভালকারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন বিরাট কোহলি, পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি আইপিএল কাটিয়ে আসার পর চলতি বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচে তার সম্মিলিত রান স্রেফ ৫!

অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের হয়ে খেলা নেত্রাভালকারের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত শর্মাও। ১৫ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার।
এরপর রিশাভ পান্ত ও সুরিয়াকুমার দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। পান্তকে ফিরিয়ে ২৯ রানের এই জুটি ভাঙেন আলি খান। একটি করে চার ও ছক্কায় ভারতের কিপার ব্যাটসম্যান ২০ বলে করেন ১৮ রান।
প্রথম ১০ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৪৭। ত্রয়োদশ ওভারে সুরিয়াকুমারকে আউট করার সুযোগ এসেছিল, কিন্তু ক্যাচ ধরে রাখতে পারেননি নেত্রাভালকার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিভাম দুবের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সুরিয়াকুমার।
শেষ ৫ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৫ রান। তবে ষোড়শ ওভার শুরুর আগেই তা কমে আসে ৩০ রানে!

ইনিংসে তিনবার এক মিনিটের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেনাল্টি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করা হয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো সংখ্যক রান অর্জন করতে পেরেননি। দুবের সঙ্গে ৬৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে কাজ শেষ করে ফেরেন সুরিয়াকুমার। ৩৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন দুবে।

  • ঊষারবাণী
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • বিশ্বকাপ
  • ভারত
  • যুক্তরাষ্ট্র
  •