টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি বেশ কিছু ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করছে। এতে ক্রিকেট ইতিহাস ও রেকর্ডসহ বিভিন্ন গ্রাফিকস অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
এটা নতুন কিছু নয়। সব বিশ্বকাপের আগে আইসিসি এমন উদ্যোগ নেয়। তবে এবার তারা ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে, বিশেষ করে আমেরিকানদের মধ্যে, বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে।
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে সাকিব আল হাসান ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে চান।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে উষারবাণী স্পোর্টস থেকে আমি ইফফাত আরা মিথিলা রয়েছি আপনাদের সাথে।
বিশ্বকাপের ২০ দলে মোট ৩০০ ক্রিকেটার খেলবেন। সাকিব আল হাসান এবং রোহিত শর্মা এই ৩০০ জনের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ তারা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছিলেন এবং এবার ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজেও খেলবেন। তারা মাঝের সাতটি আসরেও ছিলেন। তাই এই দুজনকে বলা যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জীবন্ত ইতিহাস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের মিডিয়া বিভাগ থেকে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশ দলের ১৫ জন ক্রিকেটারের ছোট ভিডিও ইন্টারভিউ নিয়েছে এবং একে একে তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। সাকিবের শেষ বিশ্বকাপ কি না—এই প্রশ্নটি এখান থেকেই উঠে এসেছে।
বিসিবির ভিডিওতে সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানানোর পর সাকিব বলেন, আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে পারলে মন্দ হবে না!
এর মানে সাকিব ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে চান।
সাকিব সত্যিই সিরিয়াস, নাকি কথার কথা বলেছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সাকিব নিজেও এ বিষয়ে নিরুত্তর।
এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। সত্যিই যদি সাকিবের ইচ্ছা থাকে, তাহলে সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য আরও অনেক কিছু মেলাতে হবে।
তবে তার কথার অর্থ এমনও হতে পারে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে যে পরের বিশ্বকাপে না থাকার কথা ভাবতেও পারছেন না। রোহিত শর্মা প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন, কিন্তু সাকিবের এমন কোনো দলীয় অর্জন নেই। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় সাফল্য বলতে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি। সেটিই ছিল বাংলাদেশের অভিষেক।
আশরাফুলের ব্যাটের ঝলকে সেই ম্যাচে বাকি সবাই আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। এমনকি ৬২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে ফেরা আফতাব আহমেদও। তাই সাকিবের পারফরম্যান্স হয়তো কারও মনে নেই। তবে ব্যাটিংয়ে ১৩ রান করলেও বোলিংয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিবই ছিলেন বাংলাদেশের সফলতম বোলার।
তাহলে সাকিব যা বলেছেন, তা কি কথার কথা নাকি তিনি সত্যিই সিরিয়াস? এবার সাকিব কি করবেন, তা এখন দেখার অপেক্ষা।