সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা বিলাসবহুল ৫২টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদা হারিয়ে যাওয়ায় এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আর নেই। ফলে সরকার এসব গাড়ি বাজারমূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ব্যবস্থা, বাজার পরিস্থিতি ও সার্বিক মূল্য পরিস্থিতি’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, এসব গাড়ির বেশিরভাগই টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো। উপদেষ্টা এনবিআরকে নির্দেশ দেন, বাজারমূল্যে গাড়িগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করতে। এছাড়া, শর্ত সহজ করে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানিকৃত এসব গাড়ির মোট মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা। শুল্কসহ প্রতিটি গাড়ির দাম ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। এ গাড়িগুলোর শুল্ককর হার প্রায় ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা বাজারে সাধারণত ৮ কোটি ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি দামে বিক্রি হতে পারে।
সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করেছেন তাদের মধ্যে আছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রীরা ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ আরও কয়েকজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের আনা গাড়িগুলোর শুল্ক ছাড়াই খালাস সম্ভব নয়, তাই স্বাভাবিক শুল্ককর দিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।