শিরোনাম

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতোটা আধুনিক?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মাস আগে
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

ইসরাইলের হামলায় নিজ দেশের শীর্ষ সেনা কর্তাদের হারানোর পর আর চুপ থাকেনি তেহরান। সরাসরি প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় দেশটি। ইরানকে এতোদিন শুধু হুমকি হিসাবেই দেখে আসছিল ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু এবার ইসরাইলে সরাসরি হামলায় ভয় ধরিয়ে দিল পশ্চিমাদের। ইরানের এই সাহসী হামলার পর তদন্ত চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইরান গেলো চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের অর্থেই ঢেলে সাজিয়েছে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইসরাইল ও তাদের দোসর পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইরান ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোনের বিশাল সম্ভার গড়ে তুলেছে তিল তিল করে। ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র ভান্ডারের সঠিক চিত্র নেই কারো কাছেই।

তবে পশ্চিমাদের ধারণা, ইরানের কাছে যেসব মাঝারি ও দূলপাল্লার মিসাইল রয়েছে সেগুলোর সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। ইরানের হাতে রয়েছে এমন সব ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম যা পরমাণু বোমা বহনে সম্ভব। পশ্চিমা হিসাবেই, ইরানের কাছে রয়েছে নয় ধরনের মিসাইল।

শুধু মিসাইলই নয়, শত্রুর আক্রমণ মোকাবেলায় ইরানেরও রয়েছে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার কথা এতোদিন জানা না গেলেও, রোববারে ইসরাইলে হামলার পর এনিয়েই জোর চর্চা চলছে সবখানে।

ইসরাইলে যেমন রয়েছে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিঙ্গ এবং অ্যারোর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, তেমনি ইরানের হাতে রয়েছে নানা নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এসবের মধ্যে গেলো শনিবার সর্বাধুনিক দুইটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে এনেছে ইরান। এর একটির নাম ‘আরমান’ এবং অন্যটির নাম ‘আজরাখশ’।

এই দুটি সিস্টেমকে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনুমপ শিল্প হিসাবে বর্ণনা করে আশতিয়ানি বলেন, মাঝারি পাল্লার উচ্চতর কৌশলগত আরমান সিস্টেমটি ১৮০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে তাদের ধ্বংস করতে পারে। আরমান সিস্টেম তিন মিনিটেরও কম সময়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

অন্যদিকে, আজরাখশ সিস্টেম ড্রোনসহ ছোট আকারের আকাশযানের হুমকি নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দেবে। দুই সিস্টেমেই রয়েছে উন্নত ত্রিমাত্রিক রাডার সিস্টেম, একটি অপটিক্যাল সার্চ সিস্টেম এবং অত্যন্ত নিখুঁত প্রযুক্তির শনাক্তকরণ ডিভাই। এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা যাবে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ইরিনা জানিয়েছে, আরমান দিয়ে উড়ে আসা যে কোন ব্যালাস্টিক মিসাইলকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে মাঝ আকাশেই। এই সিস্টেমে রাখা শাহেদ তিন মিসাইলটি আকাশে বিচরণ করে যে কোন তাপ পরিবাহী বস্তুকে শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। অন্যদিকে, আকাশ বেয়ে উড়ে আসা ড্রোনসহ নানা ধরনের ছোট খাটো হুমকিতে ব্যর্থ করে দেবে- আজরাখশ সিস্টেম।

  • usharbani
  • ইসরায়েল
  • ইসরায়েলইরানখবর
  • ঊষারবাণী
  • সামরিকশক্তি
  •