বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল যে, তিনি বিসিবির সভাপতির পদ ছাড়বেন। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হলো এবং বুধবার (২১ আগস্ট) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বিসিবি পরিচালকদের জরুরি সভার পর পাপন বিসিবির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
নাজমুল হাসান পাপন দীর্ঘ এক যুগ ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে প্রথমবার সরকার মনোনীত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি এবং পরের বছর নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিন মেয়াদে বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন।
বিসিবির সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি, তিনি জাতীয় সংসদের একজন নির্বাচিত সাংসদও ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছিলেন, তবে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন।
তার নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের অক্টোবরে, কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হলো তাকে। এর আগে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর আগের সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি, যার ফলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও হাতছাড়া হয় পাপনের। এবার বিসিবি সভাপতির পদ থেকেও তাকে সরে দাঁড়াতে হলো।