বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির মধ্যে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
রবিবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল নিহতদের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুজন মারা যান, বয়স ২২-২৫ বছর। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুন্সিগঞ্জের সুপার মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের বাধা দিতে যান। এর ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। কিছু মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা করলে তারা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।