অভিযোগ হতে পারে যে, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ করার অভিযোগ ওঠে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে। রোববার বিকেলে এই আদেশ জারি করেছে এনবিআর। বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ হবে তাঁর নতুন কর্মস্থল।
বিস্তারিত বদলির কারণ উল্লেখ করা হয়নি এনবিআরের আদেশে। শুধু মাত্র বলা হয়েছে, ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে’। একই আদেশে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১–এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
রবিবার সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে গিয়ে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে তাঁর কক্ষে পাওয়া যায়নি। তাঁর সহকর্মীরা জানান যে, তিনি আজ অফিসে আসেননি। বিকেলে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইলে কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এতে কারণে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিবরণ তুলে ধরেছে। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, এবং খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠা প্লটের জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
ফয়সাল ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, এই জব্দের আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় এসব সম্পদ হস্তান্তর বা বিনিময় করা যাবে না।
এনবিআরের সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের নামে বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এছাড়াও, পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ ও পরিবারের বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠেছে। এই সম্পদের উৎস নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়েছে দুদক। জাতীয় সংসদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্যরাও এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।