আজ সর্বদা বাংলাদেশের সর্বাধিক ‘বাংলা ব্লকেড’ প্রতিষ্ঠান করে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ব্লকেড অবস্থান রাখবেন। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম একটি নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে অনলাইন এবং অফলাইনে দেশব্যাপী সম্পাদকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আন্দোলনকারীদের। এর পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাভি) ছাত্ররা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রদের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত আন্দোলনের সমর্থন হয়েছে। তারা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতকরণ আবেদন করেছেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং রেলওয়ের প্রযুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী সড়কে অবরোধ করার প্রস্তাব দেন আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আমি ৫% কোটা বিষয়ে পর্যালোচনা করেছি এবং এটি মাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে এবং এর বাকি অংশগুলো বৈষম্যমূলক। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার প্রস্তাবটি আদালতে অবৈধ ঘোষণা করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র এই বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তবে, বৈষম্যবিরোধীরা দাবি করছেন যে এটি তাদের আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত নয়। আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন যে, তাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং তাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের দিকে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছেন এবং গতকাল দুপুরে শহীদ মিনারের সামনে ১০ মিনিটের নীরব সমাবেশ অনুষ্ঠিত করেছেন। তাদের সমাবেশে কোনো শিক্ষার্থী বক্তব্য দেননি এবং তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজি হননি। তবে, তারা লিখিত বিবৃতিতে তাদের দাবি প্রকাশ করেছেন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অত্যন্ত যৌক্তিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হিসেবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করে এবং আদালতের মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অত্যন্ত দ্রুত রায় প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছেন এবং গতকাল দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ হুঁশিয়ারি অবরোধে অংশগ্রহণ করেছেন আন্দোলনকারীরা, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত করেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার দাবিতে সমন্বিত আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে এবং অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা এ হুঁশিয়ারি অনুসরণ করেছেন। তাদের অনুমতি প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তাদের দাবির পক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। একইভাবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ছাত্রলীগের শোডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগ শাখার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানিয়ে শোডাউন অনুষ্ঠিত করেছেন এবং তারা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পাহারাদার হিসেবে অবস্থান করছেন।