কোটা আন্দোলন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই তথ্য দেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অংশে।
এর পরদিন থেকেই এই আন্দোলনের কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটতে থাকে। গণমাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ হলেও, সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা এই প্রথম জানানো হলো। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক সহিংসতায় তাদের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সদস্যরাও রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, বয়সের এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষও নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সরবরাহ করা হবে।