১১ বছর আগে, ২৪ এপ্রিল, সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো বিশ্বকে শোকগ্রস্ত করেছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ১,১৩৬ জন নিহত এবং ২,৪৩৮ জন আহত হয়েছিল। তখনকার উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেন সাভারের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, যিনি সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের প্রধান ছিলেন।
সাবেক এসএসএফ প্রধান চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা তাকে নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার ভাষ্যমতে, উদ্ধার কাজের সময় শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, অনেক লোক উদ্ধার হয়ে গেছে, তাই এখন আটকে পড়াদের চাপা দিয়ে দিন এবং উদ্ধার কাজ বন্ধ করুন। তবে তিনি এই নির্দেশ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, উদ্ধার কাজ চলবে যতক্ষণ না সব নিখোঁজ ব্যক্তি উদ্ধার হয়।
শেখ হাসিনা তাকে স্পেট্রা গার্মেন্টস ধসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন যে, ওই ঘটনায় কাউকে উদ্ধার করা হয়নি এবং চাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রানা প্লাজা থেকে ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমার বিষয়েও তিনি বলেন, উদ্ধারকাজের তথ্য অনেক সময় বিতর্কিত হয়েছে, এবং পরে রেশমার পাঁচতারকা হোটেলে চাকরি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি।
এছাড়া, ২০১২ সালের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশন পোশাক কারখানায় আগুনে ১১৭ জন কর্মী নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছিল। হাসান সারওয়ার্দী দাবি করেছেন, তাজরীন ফ্যাশনের ঘটনায়ও তাকে অবৈধ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্দেশ দেন লাশগুলো পুলিশের কাছে দিয়ে গুম করতে, যাতে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া আন্দোলন করতে না পারে।
এই ধরনের নির্দেশনা অমান্য করার কারণে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন, এমন দাবি করেছেন সাবেক এই কমান্ড্যান্ট।