শিরোনাম

দেশের ৮৫ ভাগ সম্পদ ভোগ করেন ১০ শতাংশ মানুষ: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ দিন আগে
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ১০ শতাংশ মানুষের কাছে দেশের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশের মালিকানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সব সদস্য সেখানে সংক্ষেপে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে, রোববার তিন মাসের গভীর গবেষণা শেষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের অর্থনীতিতে চামচা পুঁজিবাদের প্রবেশের মাধ্যমে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় প্রকল্পগুলোর ব্যয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে দুর্নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান জানান, ১২ জন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নিয়ে গঠিত কমিটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং দুর্নীতির প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে কাজ করেছেন এবং কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রক্রিয়ায় বিদেশি পরামর্শক আনা হলে অন্তত ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হতো।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, শ্বেতপত্রের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এটি সরকারের নিজস্ব দলিল হিসেবে স্বীকৃত এবং এর মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিভাবে ক্রোনি পুঁজিবাদের মাধ্যমে অলিগার্কদের ক্ষমতায় আনা হয়েছে এবং নীতিনির্ধারণে তাদের প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে লুটপাট, রাজস্ব আদায়ের দুর্বলতা, অভিবাসনের নামে অর্থপাচার, এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতার অভাবের মতো সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। তারা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দায়বদ্ধতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

ড. মুস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে যে অর্থ লুটপাট হয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বোঝা হয়ে থাকবে। আরেক সদস্য ড. ইমরান মতিন বলেন, সম্পদের অসম বণ্টনের ফলে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যকরভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

ড. দেবপ্রিয় মন্তব্য করেন, “দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার সম্ভব নয়। ভবিষ্যতের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

  • usharbani
  • ঊষারবাণী
  • দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  •