বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: এজেন্ডার বাইরেও বহুমুখী বন্ধন
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বহুমুখী, বিস্তৃত, এবং একে অপরের প্রতি গভীর নির্ভরশীল। রোববার (১৭ নভেম্বর), রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘Bay of Bengal Conversation 2024’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সম্মেলনের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো সিঙ্গেল ইস্যু বা এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী ও বিস্তৃত, যেখানে দুই দেশ একে অপরের প্রতি আরও বেশি নির্ভরশীল।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি এবং শান্তি, নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য উভয় দেশ পরস্পরের সহযোগিতায় কাজ করছে।”
প্রণয় ভার্মা বলেন, “বাণিজ্য, পরিবহণ, জ্বালানি সংযোগ এবং মানুষে-মানুষে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।” তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পেট্রাপোল-বেনাপোল সমন্বিত চেকপোস্টের উন্নয়ন, যা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাইলফলক।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক কাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতাকে একটি “নোঙর” হিসেবে বর্ণনা করেন।
সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে এবং ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে গভীর করবে।”
হাইকমিশনার বলেন, “আমরা শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উভয় দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য।”