শিল্পকারখানাগুলোতে চলমান গ্যাস–সংকট বাস্তব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, বিদেশ থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এসে পৌঁছালেও সমুদ্রের প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা এখনো খালাস করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যার মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
শনিবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় অবস্থিত টাওয়েল টেক্স লিমিটেড কারখানায় গ্যাস পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ফাওজুল কবির খান সড়ক পরিবহন ও সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, এবং রেলপথ—এই তিনটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে কারখানায় পৌঁছে উপদেষ্টা বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় এখনো অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগের পেছনে তিতাস গ্যাসের কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে বড় পরিসরে অভিযান চালানো হবে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “সমুদ্রবন্দরে এলএনজি বহনকারী একটি জাহাজ পৌঁছেছে। আবহাওয়ার কারণে সেটি এখনও পুরোপুরি ডক করতে পারেনি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। বিকেলের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমরা আশা করছি।” এ সময় তিনি টাওয়েল টেক্স লিমিটেডের মালিককে অনুরোধ করেন, সন্ধ্যায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করতে।
কারখানাটির পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, চলতি মাসে গ্যাস–সংকট অনেক তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, “আমরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গ্যাস চাই না, কিন্তু অন্তত ৮ ঘণ্টার জন্য নিয়মিত সরবরাহ দরকার।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ, জ্বালানি বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।