জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং আন্দোলনের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি বিশেষ অধিদপ্তর গঠনের পরিকল্পনা করছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই উদ্যোগ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের মূল উদ্দেশ্য হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, শহীদদের পরিবারের পুনর্বাসন এবং আন্দোলনের চেতনাকে জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে আসে। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের দমন-পীড়নের কারণে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। পরে সাধারণ জনগণ এই আন্দোলনে যোগ দিলে তা সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের রূপ নেয়। আন্দোলনের চাপে গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এই অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ১,৫৮১ জন নিহত এবং ২২ হাজার জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, গুরুতর আহতদের মধ্যে ৫৮৭ জন চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন এবং ৯২ জন দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।