লুট হওয়া অস্ত্র প্রত্যাশা অনুযায়ী উদ্ধার হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “অস্ত্র বাইরে থাকলে ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় হামলার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা এই সুযোগে লুটপাটে অংশ নিয়েছে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তারা কার আত্মীয় বা পরিচিত – সেটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। যারা অপরাধ করেছে, তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”

সম্প্রতি কিছু এলাকায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উপদেষ্টা বলেন, “এই ধরনের ঘটনাগুলোও নজরে এসেছে এবং যারা এতে জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।” এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

পুলিশ বাহিনীর নানা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু তাদের আবাসন ও জীবনযাপনের নানা সমস্যা রয়েছে। অনেক পুলিশ সদস্য ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধান জরুরি। ভালো কাজ পেতে হলে, তাদের ভালোভাবে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক থানা ও ফাঁড়িতে গাড়ি নেই, আগেরগুলো পুড়ে গেছে বা বিকল হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত নতুন কোনো গাড়ি কেনা সম্ভব হয়নি। এই কারণে পুলিশের অ্যাকশন নিতে দেরি হয়। তবে আমরা আশা করছি, সবকিছু শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”

পরিদর্শনকালে থানায় লাল গালিচা বিছানো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি বহুবার বলেছি এসব আনুষ্ঠানিকতা না করতে। প্রটোকল করতে করতে আসল কাজটাই করা যায় না। ১০০ বার বলার পরও তোমরা কেন শুনো না?” এরপর তিনি গালিচা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।