শিরোনাম

শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে

শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের ফলে মহারশি নদীর বাঁধের চারটি স্থানে ভেঙে গিয়ে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লা খালি নদীও প্লাবিত হয়ে আরও ৫০টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল এলাকায় ঢলের পানিতে ডুবে ইদ্রিস আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে এবং বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, টানা ভারি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে মহারশি নদীর পানি বেড়ে যায়। রাতের মধ্যে বাঁধের কয়েকটি স্থান ভেঙে যায়, ফলে ঝিনাইগাতি উপজেলার সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।

বন্যার কারণে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট এবং বিপুল পরিমাণ মাছের খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢলের পানিতে প্রায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমির আমন ফসল এবং ১ হাজার হেক্টর সবজি ফসল সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে।

নালিতাবাড়ীর ৮টি ইউনিয়ন—নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবের, নালিতাবাড়ী সদরসহ মোট ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমির আমন এবং ১ হাজার হেক্টর সবজি ফসল তলিয়ে গেছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানিয়েছেন, পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন চলছে এবং নদীর তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

তবে, নালিতাবাড়ী উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

  • usharbani
  • ঊষারবাণী
  •