শিরোনাম

আজ মার্চ ফর গাজা, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামের একটি ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের আগে পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এ উদ্যোগ নিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, গাজার নিরস্ত্র মানুষের প্রতি সমর্থন জানানো এবং আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই আয়োজন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এটি ঢাকায় ফিলিস্তিনের পক্ষে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় সমাবেশে পরিণত হবে।

এই আয়োজন শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ইসলামি চিন্তাবিদ, ক্রীড়াবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। দল-মত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে একত্রিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক—সব ধরনের মানুষ একমঞ্চে এসে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাবেন। সমাবেশ ঘিরে আয়োজক সংগঠনের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন আলেম, সেলিব্রিটি ও বিশিষ্টজনদের সমর্থনসূচক ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। ভিডিও বার্তাগুলোর মধ্যে রয়েছেন—দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, অভিনেতা তামিম মৃধা ও টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক প্রমুখ।

আয়োজকদের বিশ্বাস, এই জনসমাগম বিশ্বব্যাপী গাজার নির্যাতিত মানুষের পক্ষে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেবে।

এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:

১. ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন পানির বোতল, ছাতা ও মাস্ক সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে, একইসঙ্গে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
২. শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩. কোনো রাজনৈতিক প্রতীক নয়, কেবল বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড যেন সৃজনশীল হয় তাও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুরুতে শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ‘মার্চ’ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন কর্মসূচিটি কেবল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।