ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ঢাকায় সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে বিক্রম মিশ্রি বলেন,
“বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো চিন্তা নেই। আমরা এই সম্পর্ককে উভয় দেশের জন্যই উপকারী হিসেবে দেখতে চাই।”
তিনি আরও জানান,
“আমরা যেখানে ছিলাম, সেখান থেকেই সম্পর্ক পুনরায় শুরু করতে চাই।”
৪০ মিনিটব্যাপী বৈঠকে উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন:
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে কিছু মেঘ জমেছে, যা আমাদের সহযোগিতার ওপর ছায়া ফেলছে। আমরা এই কালো মেঘ দূর করতে ভারতের সাহায্য চাই।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা তরুণদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে চাই। এটি একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা।”
বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“তিনি সেখান থেকে অনেক বিবৃতি দিচ্ছেন, যা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, তিনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং নতুন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ভারতের প্রতি বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভারতকে সহযোগিতায় যুক্ত হতে অনুরোধ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“আমরা একটি পরিবার। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, গত মাসে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন,
“আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই।”