শিরোনাম

বাংলাদেশে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত: সতর্ক থাকার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ ঘন্টা আগে
রিওভাইরাস

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে শনাক্ত হওয়া রোগীদের কারও শরীরেই বড় ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি।

ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ কম, তবে সতর্কতা জরুরি

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিওভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শীত মৌসুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

রিওভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যদিও নিপাহ ভাইরাস পাওয়া যায়নি, তবে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

গবেষণার গুরুত্ব

অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, দেশে এনকেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) রোগীদের সঠিক কারণ শনাক্ত করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই গবেষণা ভবিষ্যতে এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসায় সহায়ক হবে।

কীভাবে ছড়ায় রিওভাইরাস?

গবেষকদের মতে, রিওভাইরাস সাধারণত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া বা এনকেফালাইটিসও হতে পারে।

রিওভাইরাস থেকে সুরক্ষার উপায়

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শীত মৌসুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রিওভাইরাসের ইতিহাস

রিওভাইরাস প্রথমবার বিশ্বে শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। এটি মূলত শিশু ও বয়স্কদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।