অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনা জান্তা ও আরাকান আর্মির নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা রুখে দেওয়া বিশ্ববাসীর নৈতিক দায়িত্ব।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের ইনানীর ‘হোটেল বে ওয়াচ’-এ রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক অংশীজন সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের সমাধান বের করা সম্ভব হবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন ড. ইউনূস।
রোববার (২৪ আগস্ট) একই হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন “টেক অ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন” শুরু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যুবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ দফতর যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। তিন দিনের এ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ অনুসন্ধানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক তহবিল, খাদ্য সহায়তা, গণহত্যার বিচার এবং রোহিঙ্গাদের মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিদেশি অতিথিরা সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এখানকার প্রস্তাবনা ও আলোচনার সারসংক্ষেপ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সম্মেলনে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।