জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং গণআন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে, শেখ হাসিনা আগের যে কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যে সব মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, তা সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ প্রদান করেন।
সম্প্রতি ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি করেন, যা পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রসিকিউশন দাবি করছে, শেখ হাসিনার দেওয়া এসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধ করার জন্যই এ আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ দেড়শোর বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। বর্তমানে সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ২৫ জন গ্রেফতার আছেন।