সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও চট্টগ্রাম কারাগার থেকে এখনও মুক্তি পাননি। জানা গেছে, তার জামিনের কাগজপত্র চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছালেও তা যাচাই-বাছাই করা হয়নি। বাবুল আক্তারের জামিনের খবর ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মীরা চট্টগ্রাম কারাগারের প্রধান ফটকে ভিড় জমান এবং সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করেন। বিকেলে বাবুল আক্তারের দ্বিতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তাসহ তার পরিবারের সদস্যরা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন, ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে জামিন প্রদান করেন। তবে সেদিন তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সকালে কাগজপত্র যাচাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কফিল উদ্দিন আরও বলেন, “শুরু থেকেই একটি ‘অশুভ শক্তি’ বাবুল আক্তারকে এই মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই শক্তি কোর্ট থেকে কারাগার পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী তার মুক্তি কেউ আটকাতে পারার কথা নয়। জামিনের পরও কারাগারে তাকে আটকে রাখা মানসিক হয়রানি ও অত্যাচারের শামিল।”
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, বাবুল আক্তারের জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছেছে। তবে কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সোমবার সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোড এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তবে পরবর্তীতে ঘটনাটির তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ১২ মে মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নতুন একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে আটক আছেন।