শিরোনাম

মেট্রোরেলে একক যাত্রায় যুক্ত হচ্ছে আরও ২০ হাজার টিকিট

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার মেট্রোরেলের টিকিট সংকট নিরসনে ভারত থেকে দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এসব টিকিট মেট্রোস্টেশনগুলোতে সরবরাহ করা হবে। নতুন টিকিট সরবরাহের ফলে সংকট কাটবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

গত দুই মাস ধরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলকারী মেট্রোরেল এমআরটি-৬ এর একক যাত্রার টিকিট সংকট দেখা দেয়। যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে—এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস এবং একক যাত্রার টিকিট। র‍্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা আগেই নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী যাতায়াত করতে পারেন। অন্যদিকে, একক যাত্রার জন্য টিকিট স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক কিনতে হয় এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর টিকিট ফেরত দিতে হয়।

মেট্রোরেল চালুর সময় স্টেশনগুলোতে মোট ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে ডিএমটিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে। অনেক যাত্রী স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় টিকিট ফেরত দেননি, আবার কিছু টিকিট ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সংকট নিরসনে ডিএমটিসিএল মোট ৪ লাখ নতুন টিকিট কেনার উদ্যোগ নেয়। এসব টিকিটের জোগান জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে আসে। টিকিটের কার্ডগুলো তৈরি হয় ভারতে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টিকিট ঢাকায় আসার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রথম দফায় গত ২ নভেম্বর ২০ হাজার টিকিট সরবরাহ করা হয়। ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় আরও ২০ হাজার টিকিট ঢাকায় পৌঁছায়, যা কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষে মেট্রোস্টেশনগুলোতে বিতরণ করা হবে। এর পাশাপাশি ২৮ ডিসেম্বর আরও ৩০ হাজার টিকিটের চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। এগুলো চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্টেশনগুলোতে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।

এমআরটি-৬ প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় আসা ২০ হাজার টিকিট কাস্টমস জটিলতার কারণে হাতে পেতে দেরি হয়েছে। তবে সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যে সেগুলো সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে মেট্রোরেলের দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিটের প্রয়োজন হলেও মজুত রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার। এই কারণে স্টেশনগুলোতে টিকিট সংকট দেখা দিচ্ছে। টিকিটের অভাবে কিছু মেশিন ফাঁকা থাকছে, আর যেখানে টিকিট রাখা হচ্ছে, সেগুলো দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের দীর্ঘ সারি ও অপেক্ষা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।