অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। তবে এখনো জাতীয় পার্টি (জাপা) আমন্ত্রণ পায়নি বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ।
৭ অক্টোবর রাতে এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টদের দালালদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো কীভাবে সম্ভব?”
অন্যদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাব এবং কঠোর বিরোধিতা করবো।”
এই বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া না পাওয়াকে গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, “ডাকা না ডাকা সরকারের বিষয়। আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো।”
দুই সমন্বয়কের মন্তব্য সম্পর্কে চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, “কেউ যদি এমন কিছু বলতে চায়, সেটা তাদের বিষয়। মাঠে এভাবে বলার কোনো লাভ নেই। আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা আমাদের মতো করে উত্তর দিবো।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা আগের সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম, এবার ডাক পাইনি। তবে সরকারের প্রয়োজন হলে ডাকবে, না হলে ডাকবে না। আমরা এটার জন্য বসে নেই, আমাদের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছি।”
জাতীয় পার্টির পূর্ববর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “২০০৮ সালে সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৪ সালে আমাদের নেতা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচনে না যাওয়ার, পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী অংশ নিই। ২০১৮ সালে আমরা সংসদে ছিলাম, বিএনপিসহ অন্য দলও সংসদে ছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচন আয়োজন করে। আমাদের চেয়ারম্যান পরিষ্কারভাবে বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচনে আনা হয়েছিল।”