বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ থেকে তাদের আট দিনের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ।
১. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা। 2. দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন। 3. দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা। 4. রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের তারিখ, স্থল এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব প্রকাশ করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
বিএনপির এই কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই কর্মসূচিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছেন। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সামনে রেখে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
সরকারি মহল থেকে এই কর্মসূচি নিয়ে এখনো কোনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এই কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।