শিরোনাম

সরকারে থেকে শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে এলে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা আগে
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব রেখে যদি তারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তাহলে তা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বিরের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।’

mirza fakhrul 1
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী ও বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের দলীয় আলোচনা করবো এবং যারা আন্দোলনে আমাদের সঙ্গী ছিলেন, তাদের সঙ্গেও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবো। যেকোনো সিদ্ধান্ত হবে ঐক্যবদ্ধ আলোচনার মাধ্যমে।’

জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন। শুরু থেকেই বলছি, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। এটি কোনোভাবেই অসম্ভব নয়। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে, এমনকি আগস্টেও আয়োজন করা সম্ভব।’

সংস্কারের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস এত বেশি সংস্কারের পরিকল্পনা করেছেন যে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে দশ বছর সময় লাগবে। তবে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা দুই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘যদি সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে, তাহলে তারা নির্বাচন পরিচালনা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারে। তবে যদি তারা নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, ছাত্ররা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা করছে। যদি তাদের প্রতিনিধি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকে, তাহলে এটি নিরপেক্ষ থাকবে না।’

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘সংবিধানে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু সেগুলো সংসদ ছাড়া সম্ভব নয়। এজন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’

স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসার আশঙ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আমরা কখনোই স্বৈরতান্ত্রিক ছিলাম না। আমরা সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছি। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং একদলীয় শাসন থেকে উত্তরণ আমাদের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা বিএনপিই চালু করেছে। আমাদের স্বৈরাচারী আখ্যা দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই, এবং এটি আমরা কখনোই মেনে নেব না।’