গত মার্চে মেসিকে ছাড়াই উরুগুয়ে ও ব্রাজিলকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লিওনেল মেসি ফিরে এলেও শুরুতে ছিলেন না একাদশে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এবং কয়েকটি চোখধাঁধানো মুহূর্ত উপহার দেন। তবে এর আগেই হুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান ধরে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তেরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সান্তিয়াগোর এস্তাদিও ন্যাসিওনাল হুলিও মার্তিনেজ প্রাদানে আয়োজিত ম্যাচে চিলিকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে থিয়াগো আলমাদার দারুণ এক পাস পেয়ে আলভারেজ গোলটি করেন।
এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সবার আগে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। ১৫ ম্যাচ শেষে দলটির সংগ্রহ ৩৪ পয়েন্ট, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডরের পয়েন্ট ২৪। বাকি ম্যাচগুলো জিতলেও আর্জেন্টিনাকে টপকানো সম্ভব নয় তাদের পক্ষে।
বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই আগেই নিশ্চিত হওয়ায় কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি এই ম্যাচে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। একাদশে রাখেননি মেসি, এনজো ফার্নান্দেজ, কিংবা অভিজ্ঞ অনেককেই। বরং সুযোগ দেন তরুণ খেলোয়াড় থিয়াগো আলমাদা, নিকো পাজ, জিওভান্নি সিমিওনে ও এজেকুয়েল প্যালাসিওসকে।
তবে নতুন একাদশ নিয়েও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শুরুতেই হুলিয়ান আলভারেজ ও থিয়াগো আলমাদার সমন্বয়ে দারুণ কিছু আক্রমণ হয়, যার ফল আসে দ্রুতই।
১৬ মিনিটে আলমাদার পাস থেকে আলভারেজ দৌড়ে চিলির দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।
৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সিমিওনে, তবে তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর্জেন্টিনা বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে একাধিক আক্রমণ চালালেও আর গোল পায়নি। চিলির বেশিরভাগ সময় কেটেছে নিজেদের অর্ধে রক্ষণ সামলাতেই।
দ্বিতীয়ার্ধে চিলি কিছু পরিবর্তন আনে এবং খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। পিজ্জারু ও ভিদালের জায়গায় নামানো হয় হরমাজাবালকে। অন্যদিকে মেসিকে দেখা যায় সাইডলাইনে গা গরম করতে।
৫৭ মিনিটে নিকো পাজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। চিলিও আক্রমণে ধার বাড়ায় এবং একটি গোলের সুযোগও তৈরি করে। ৬০ মিনিটে সানচেজের ফ্রি-কিক থেকে চেপেদার নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
শেষ পর্যন্ত চিলির সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আর্জেন্টিনা ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এবং দাপটের সঙ্গেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে।