দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে দশ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল। বাংলাদেশ ২২৮ রানের লক্ষ্য দিলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টস হারা বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে। সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের উইকেট বিলিয়ে দেয়া এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অপ্রয়োজনীয় শট খেলার কারণে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় দল। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকেই ফিরিয়ে দেন সিলস। অন্যদিকে, এক প্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ হাসান তামিম ৪৬ রানে আউট হন।
এরপর, জাকের আলি ও আফিফ হোসেন দ্রুতই আউট হয়ে গেলে দলীয় শত রান করার আগেই বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০০। সেখান থেকে দলকে কিছুটা বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। তারা মিলে ৯২ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন। তানজিম তার ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন, তবে চেইসের বলে আউট হয়ে যান। মাহমুদউল্লাহ ৬২ রানে বিদায় নিলে পুরো দল ৫০ ওভার পূর্ণ করার আগেই ২২৭ রানে গুটিয়ে যায়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজের দুই ওপেনার মিলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। রিশাদ লুইসকে আউট করে সেই জুটি ভাঙেন। এরপর, কার্টিকে সঙ্গে নিয়ে কিং আরও ৬৬ রান যোগ করে দলের জয় নিশ্চিত করার পথ তৈরি করেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকা কিংকে ৮২ রানে আউট করেন নাহিদ রানা। তবে, সাই হোপ ও রাদারফোর্ড দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
২০১৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে চারটি সিরিজেই জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, এবার টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।