শিরোনাম

জুবায়েদ হত্যার পরিকল্পনা হয় ২৫ সেপ্টেম্বর, নেপথ্যে পুরোনো প্রেম!

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ দিন আগে
ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মাহির রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার পেছনের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে—গত ২৫ সেপ্টেম্বরই জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ওসি বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে বর্ষা তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানকে জানায় যে, জুবায়েদের প্রতি আর তার আগের মতো ভালো লাগা নেই। এরপরই জুবায়েদকে “দূর করার” পরিকল্পনা নেয় তারা। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা দুজন মিলে দুটি সুইচ গিয়ার কিনে আনে এবং জুবায়েদকে হত্যার ছক কষে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান দুই দিক থেকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টিউশনিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বর্ষার বাসার সিঁড়িতে জুবায়েদকে আক্রমণ করা হয়। মাহির রহমান সুইচ গিয়ার দিয়ে জুবায়েদের গলায় আঘাত করে, যা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুরো ঘটনায় বর্ষা মাহিরকে জুবায়েদের অবস্থান ও সময় সম্পর্কে সহযোগিতা করে।

উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার পঞ্চম তলায় টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসাইন। সেখানেই সিঁড়িতে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরদিন রাতে পুলিশ বর্ষাকে আটক করে। পরবর্তীতে সোমবার মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Krishibid Group Real Estate-ads