হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

ছবি : সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া জনমতের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল। শনিবার (২২ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য হিন্দুর।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ওপর ভারতের প্রত্যক্ষ প্রভাব সীমিত ছিল, ফলে তারা খুব বেশি কিছু করার অবস্থানে ছিল না। কেবল পরামর্শ দেওয়াই তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল বলে ২০২৫ সালে সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারও জানতেন। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়, তবে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এছাড়া জয়শঙ্কর আলোচনায় উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে কিছু ‘বহিরাগত শক্তি’ সক্রিয় রয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, চীনকে তিনি ‘প্রতিপক্ষ’ নয়, বরং ‘প্রতিযোগী’ হিসেবে দেখেন।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংসদীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জয়শঙ্কর সার্কের (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, সার্ক পুরোপুরি বাতিল হয়নি, বরং এটি আপাতত স্থগিত রয়েছে। ভবিষ্যতে সংস্থাটি পুনরায় সক্রিয় করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।