ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য অন্যায় ও অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ইরান এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ভিত্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।
ইইউ সোমবার ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান শিপিং লাইনস (আইআরআইএসএল) এবং এর পরিচালকদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। তারা দাবি করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি ইরানের সামরিক সমর্থনের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই দিনে যুক্তরাজ্য ইরানের এয়ারলাইনস ও শিপিং ক্যারিয়ারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের অভিযোগ, রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
বাকায়ি অভিযোগ করেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানের সামুদ্রিক বাণিজ্য এবং নৌপরিবহন স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
এছাড়া গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে তিনি চরম অমানবিক এবং ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন। বাকায়ি বলেন, গাজায় চলমান জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করে লন্ডন ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সব ধরনের মারণাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ তাদের রাষ্ট্রীয় বর্ণবাদী নীতিরই প্রতিফলন।