শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

ইরান সফরে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বর্তমান টানাপোড়েন এবং গাজার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। খামেনি এসময় মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সোমবার (২৬ মে) প্রকাশিত তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের নেতারা ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশা লাঘবে মুসলিম দেশগুলোর কীভাবে যৌথভাবে কাজ করা যায়, সেই বিষয়ে মতবিনিময় করেন। খামেনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের মধ্যে পাকিস্তান একটি বিশেষ অবস্থানে রয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের হামলা প্রতিহত করতে তেহরান ও ইসলামাবাদের যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, যখন বৈশ্বিক কিছু শক্তি যুদ্ধ ও সংঘাত উসকে দিতে ব্যস্ত, তখন মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যই উম্মাহর নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র পথ।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, এমন সময়ে যখন অনেক মুসলিম দেশ রাজনৈতিক স্বার্থে ইসরায়েলের প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে, পাকিস্তান বরাবরই একটি সাহসী ও স্পষ্ট অবস্থান ধরে রেখেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পশ্চিমা দেশের সাধারণ মানুষও এখন নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

খামেনি পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ককে আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ১৯৮০’র দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধে পাকিস্তানের ইতিবাচক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

শেহবাজ শরিফ এই বৈঠককে সম্মানজনক বলে উল্লেখ করে জানান, দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক সংকটে ইরানের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, “আমি খামেনি সাহেবকে ধন্যবাদ জানিয়েছি—সংকটময় মুহূর্তে পাকিস্তানের পাশে থাকার জন্য।”

এর আগে সোমবার, তুরস্ক সফর শেষ করে ইরানে পৌঁছান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তেহরানের সাদাবাদ প্রাসাদে তাকে স্বাগত জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং এসময় আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।