সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সফল সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। সেখানে তারা তিনটি সেতু ধ্বংস করে বেশ কিছু ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের সবচেয়ে গভীর এবং উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া তাদের অভ্যন্তরে হামলা প্রতিরোধ করতে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়াও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহের জন্যও এই ‘বাফার জোন’ কার্যকর হবে। রাশিয়ান নিউজ এজেন্সি তাস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, “ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পেতে সীমান্তে একটি বাফার জোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটির আকার নির্ভর করবে ইউক্রেনের কাছ থেকে কী ধরনের অস্ত্র আসছে তার উপর।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রয়োজন হলে এই বাফার জোনটি পোল্যান্ডের সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।
মেদভেদেভ আরও বলেন, “ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এমন একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে যাতে কোনো কিছুই উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।” তিনি স্পষ্ট করেন যে, এটি ইউক্রেনীয়দের ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত বড় হওয়া উচিত।
গত জুন মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছিলেন, আক্রমণ অব্যাহত থাকলে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরির কথা রাশিয়া বিবেচনা করবে।