শিরোনাম

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এস্টেটে একটি সংবাদ সম্মেলনে তার বৈদেশিক নীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাত্র একদিন আগে কংগ্রেস তার নির্বাচনী বিজয়কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। শপথ গ্রহণের ১৩ দিন আগে এই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যেই হাজার হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানির বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প কঠোর অবস্থান নেন। তিনি বলেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের সময়ের মধ্যে হামাস বন্দিদের মুক্তি না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে পডিয়ামে ডেকে তিনি সাম্প্রতিক আলোচনা নিয়ে আপডেট দিতে বলেন। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ি হলেও উইটকফ সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের অস্ত্রবিরতি আলোচনা নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা অগ্রগতি করছি এবং আশা করছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেকের আগে ভালো কিছু ঘোষণা করতে পারব।”

তবে ট্রাম্প তার বক্তব্যে আরও কঠোর সুরে হামাসকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, “যদি আমার দায়িত্ব গ্রহণের সময়ের মধ্যে বন্দিরা মুক্তি না পায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হবে। এটি কারো জন্যই ভালো হবে না।”

কিছু পর্যবেক্ষক ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে গাজায় সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদিও এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবুও তিনি ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, তিনি এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগ্রহী নন। তিনি আরও বলেন, “যদি তারা বন্দিদের মুক্ত না করে, তবে যা হওয়ার তাই হবে।”