বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে, এবং তিনি এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। তার কার্যালয় ইউনূস সেন্টার থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বাকের মজুমদার বলেন, “আমরা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে বলে জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেছি এবং তিনি সম্মতি দিয়েছেন। আমরা চাই, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। আমাদের দাবি মেনে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, ফলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”
ছাত্রদের প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে:
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ড. ইউনূস বর্তমানে প্যারিসে অবস্থান করছেন তবে দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন বলে জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, “সবকিছু সম্ভব হবে না, তবে নতুন সরকার এসে সংবিধানের মাধ্যমে বৈধ করে নেবে।” ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর বিজয়ীরা তাদের ইচ্ছামতো সবকিছু করতে পারেন, তবে তা পরে আইনে রেটিফাই করতে হবে।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দলীয় সরকার গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।”
এই পরিস্থিতিতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্রদের প্রস্তাব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।