শিরোনাম

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (NSC) জরুরি বৈঠকে বসেছে।

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে NSC উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, এই বৈঠকে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলো—যেগুলোকে তড়িঘড়ি ও অপরিণামদর্শী বলে মনে করা হচ্ছে—তা পর্যালোচনা করা হবে।

ইসহাক দার আরও বলেন, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ভারত কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তিনি এটিকে “ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করেন।

ভারতের পাঁচটি উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া

১. সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত: পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে। চেনাব, ঝিলম, রবি, সাতলুজ ও বিয়াস নদীর পানির উপর পাকিস্তানের অনেকাংশ নির্ভরশীল।

২. আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ: ভারত অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব পাকিস্তানি এই পথ ব্যবহার করে ভারতে এসেছেন, তাদের ১ মে’র মধ্যে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৩. ভিসা বাতিল ও সীমিত সময়: পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সার্কভুক্ত ভিসাসমূহ বাতিল করা হয়েছে।

৪. পাক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ: নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে ইসলামাবাদে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদেরও দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

৫. দূতাবাস কর্মী সংখ্যা হ্রাস: পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ মে ২০২৫ থেকে এটি কার্যকর হবে। প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

এই ঘটনাগুলো দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।